হজরত শাহ জালাল (রহ:) এর স্মৃতি বিজড়িত সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলাধীন বাংলাদেশের চায়ের রাজধানীখ্যাত শ্রীমঙ্গল সদর উপজেলায় তৎকালীন সময়ে জ্ঞান পিপাসু শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণ ও ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের জন্য ধর্মীয় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। এর প্রয়োজনীয়তা অত্র অঞ্চলের মানুষ তিলে তিলে অনুভব করছিল। এমনি মুহুর্তে প্রখ্যাত অলী শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী সাহেব ক্বিবলা (রহ:) এর সূযোগ্য খলিফা আধ্যাতিক জগতের উজ্জল নক্ষত্র বহুবিধ মহৎ গুনের অধিকারী সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলা নিবাসী হযরত মাওলানা আব্দুন নূর (বড় হুজুর) (বড় হুজুর) অত্র এলাকার শ্রীমঙ্গল থানা জামে মসজিদে ইমাম হিসাবে আগমন করিলে সমাজের গরীব-ধনী, বিত্তবানসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে নিয়ে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার এ মহৎ উদ্যোগে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন....
১. জনাব আলহাজ্ব সৈয়দ উবেদুর রহমান (চৌধুরী সাহেব) ভূমি দাতা
প্রতিষ্টাতা সদস্য।
২. জনাব আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মোত্তালিব (বড় পীর সাহেব)
৩. জনাব আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল গণী (মেজ পীর সাহেব)
৪. জনাব আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কাদির (ছোট পীর সাহেব)
৫. জনাব আলহাজ্ব মোঃ আলাবক্স আহমদ সাহেব
৬. জনাব আলহাজ্ব মোঃ আখলাকুল আম্বিয়া (সোনা মিয়া) সাহেব
৭. জনাব আলহাজ্ব সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমদ (কাছু মিয়া) সাহেব
৮. জনাব আলহাজ্ব মৌলানা মোঃ আব্দুল আজিজ সাহেব
৯. জনাব আলহাজ্ব মীর মোঃ আছদ্দর আলী
১০. জনাব আলহাজ্ব মোঃ আকবর আলী
এছাড়াও আরো অনেক মহৎপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ স্বানন্দে উক্ত মহৎ কাজে এগিয়ে আসেন। সকলের প্রচেষ্টা ও সুপরামর্শে ১৯৬৮ সনের ১৫ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব বরেণ্য ওলী আল্লামা ফুলতলী সাহেব ক্বিবলাহ (রহ:) এর ছবক দানের মধ্য দিয়ে শ্রীমঙ্গল থানা জামে মসজিদে অত্র মাদ্রাসার প্রথম সূচনা হয়। সেখানে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত দীর্ঘদিন পর্যন্ত পাঠদান চলতে থাকে। পরবর্তিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জমি সংক্রান্ত শর্তের কারনে ঢাকা সিলেট মহা সড়কের পার্শে হবিগঞ্জ রোড সংলগ্ন স্থানে ০.৫০ একর জমিতে উক্ত মাদ্রাসা সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয়।
এ ছাড়াও মাদ্রাসার ব্যয়ভার নির্বাহের জন্য হাইল হাওর এলাকায় ৭.৩৯ একর জমি রয়েছে। উক্ত উভয় প্রকার জমি জনাব আলহাজ্ব সৈয়দ উবেদুর রহমান (চৌধুরী সাহেব) মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। (আল্লাহ তাকে জান্নাতের সু উচ্চ মাকাম দান করুন) ঐতিহ্যবাহি এই মাদ্রাসাটি ১৯৭৬ সালের ১লা জুলাই দাখিল ও ১৯৭৭ সালের ১লা জুলাই আলিম এবং ১৯৯৫ সালের ১লা নভেম্বর ফাজিল এমপিও ভূক্তি অর্জন করে। সূচনালগ্ন থেকে মান সম্মত শিক্ষা দান ও ভাল ফলাফলে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করে আসছে। যার ফল স্বরুপ ২০১৪ সালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার শ্রেষ্ট মাদ্রাসা হিসাবে নির্বাচিত ও পুরস্কৃত হয়েছে।
বর্তমানে এই ঐতিহ্যবাহি মাদ্রাসায় রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট একটি প্রশাসনিক ভবন, দ্বিতল বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন ও চারতলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন এবং দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাস (লিল্লাহ বোর্ডিং), একটি মসজিদ রয়েছে। মাদ্রাসার নিজ নামে আরও তিনটি মার্কেট ও ভাড়া উপযোগী বাসা রয়েছে। এগুলো প্রতিষ্টানের আয়ের বড় উৎস।
বর্তমানে মাদ্রাসাটি ১ম শ্রেণী থেকে আলিম স্থর পর্যন্ত বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ও ফাজিল ৩য় বর্ষ পর্যন্ত ইসলামি আরবি বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে প্রায় ৮০০ ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে এবং ৩৫ জন সুযোগ্য শিক্ষক ও কর্মচারি নিয়োজিত রয়েছেন।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমসহ একটি বড় গ্রন্থাগার রয়েছে। মাদ্রাসার প্রতিটি ক্লাস রুম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় রুম সিসি ক্যামেরা ধারা নিয়ন্ত্রিত। অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা দ্বারা শিক্ষক কর্মচারি, ছাত্র-ছাত্রী ও বহিরাগতদের গতিবিধি ও কর্মতৎপরতা সার্বক্ষনিক সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষন করা হয়। উক্ত মাদ্রাসার নব নির্মিত প্রশাসনিক ভবন ও চার তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন মাননীয় সংসদ সদস্য সাবেক চিপ হুইপ আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড: মোঃ আব্দুশ শহীদ এমপি মহোদয়ের মহত উদ্দোগে নির্মিত হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটি জ্ঞান বিজ্ঞান ও দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে আরো এক ধাপ এগিয়ে যায়।
এই ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ থেকে জিপিএ-৫ সহ উন্নত ফলাফল অর্জন করে দেশ ও বিদেশের সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সুনামের সহিত কর্মরত রয়েছেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সহিহ আক্বিদা বিশ্বাস ও সুন্নাতে নববীর পুর্নাঙ্গ অনুসরণে মাদরাসাটি পরিচালিত হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল আনওয়ারুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসা
শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
“গুনগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে আমাদের সামগ্রিক প্রয়াস। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল শিক্ষা সবার আগে। -------------------বর্ণমালা”
মোবাঃ +880 1309-129781
ই-মেইল: sf.madrasha@gmail.com
ওয়েব: www.saufm.edu.bd